নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত “মতিঝিল যুবসংঘ” নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে “ঢাকা যুব সংঘ” নামে তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মতিঝিল যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক একেএম সীমান্তকে আহ্বায়ক ও আরিফুর রহমান বিন সাদিক কে সদস্য সচিব করে সম্প্রতি ঢাকা যুব সংঘের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র জানায়, সংগঠনের কার্যপরিধি রাজধানীজুড়ে বিস্তৃতির লক্ষ্যেই “মতিঝিল যুবসংঘে”র নাম পরিবর্তন করে “ঢাকা যুব সংঘ” করা হয়েছে।
কমিটিতে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছাড়াও আরো যে তিনজন যুগ্ম আহবায়ক রয়েছেন তারা হলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী নুরু, রেজাউল হক টিপু ও ওবায়দুর রহমান সৈকত। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন শফিকুল ইসলাম জনি (মিরপুর), মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (রামপুরা), রুবেল শাহরিয়ার (মুগদা), আসাদ মিয়াজি (যাত্রাবাড়ী), শরিফুল ইসলাম (ধানমন্ডি), জাহিদুর রহমান রয়েল (কলাবাগান), কামাল হোসেন পাটোয়ারী (শনির আখড়া), মোঃ মামুন চৌধুরী (ওয়ারী), রেজাউল ইসলাম মুকুল (কমলাপুর), মোঃ কামাল উদ্দিন (সেগুনবাগিচা), কাওসার মাহমুদ (চকবাজার) অর্ক হাসান (মোহাম্মদপুর), শফিকুল ইসলাম দীপু (সবুজবাগ), আহাদুল ইসলাম আহাদ(বাসাবো), রফিকুল ইসলাম কচি (বাড্ডা), মুহাম্মদ আবুল বাশার (রায়েরবাগ)। আহবায়ক কমিটি আগামী এক বছরের মধ্যে গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা তৈরি করে রাষ্ট্রীয় নিবন্ধনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে বসবাসরত ২৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী যে কোন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী নাগরিক ঢাকা যুব সংঘের সদস্য হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। সংগঠনের কার্যক্রম সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনার স্বার্থে পর্যায়ক্রমে সংগঠন কে আগামীতে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিস্তৃত করা হবে।
প্রতিষ্ঠালগ্নে আত্মপ্রকাশ করেই ১৯৯১ সালে সদ্য ভরাটকৃত বালুর মাঠে (বর্তমান বাফুফে ভবন) মতিঝিল টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একেএম সীমান্ত, আরিফুর রহমান বিন সাদিক, জিয়াউদ্দিন জিয়া, মোঃ মামুন সহ আরো অনেক সহপাঠী বন্ধুদের সাথে নিয়ে শেখ মনি স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে সফলভাবে সম্পন্ন করে মতিঝিল যুব সংঘ। পরবর্তীতে তৎকালীন বৃহত্তর মতিঝিল এলাকায় (বর্তমান পল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ ও শাজাহানপুর এলাকা নিয়ে গঠিত) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, পরিছন্নতা অভিযান, টিকাদান কর্মসূচির মত নানাবিধ সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করে সংগঠনটি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কার্যক্রমের আওতা মতিঝিল ছাড়াও পুরো রাজধানী জুড়ে বিস্তৃত করার লক্ষ্যেই এপ্রিল ২০২০ এ অনুষ্ঠিত সংগঠনের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সম্মতিক্রমে সংগঠনের নাম “মতিঝিল যুব সংঘ” থেকে “ঢাকা যুব সংঘে” পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ৫ মে ২০২০ দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক একেএম সীমান্তকে আহবায়ক ও আরিফুর রহমান বিন সাদিক কে সদস্য সচিব করে ঢাকা যুব সংঘের ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
দেশ ও সমাজকে যতটা সম্ভব স্বেচ্ছাসেবা দেয়াই ঢাকা যুব সংঘের প্রধান লক্ষ্য হবে বলে প্রতিবেদককে জানান, নতুন এ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আরিফুর রহমান বিন সাদিক।
যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম চৌধুরী নুরু জানান, রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কোন ব্যক্তি কখনোই ঢাকা যুব সংঘের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এমনকি সদস্যপদ লাভ করার পরেও যদি ঢাকা যুব সংঘের কোন সদস্যের রাষ্ট্র বা সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে আজীবনের জন্য সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ঢাকা যুব সংঘের কার্যক্রম প্রসঙ্গে আহবায়ক সাংবাদিক একেএম সীমান্ত প্রতিবেদককে বলেন, রাজধানীর অনেক তরুন ও যুবক শ্রেণীর নাগরিক রয়েছেন যারা সঠিক প্লাটফর্মের অভাবে তাদের মেধার সত্যিকারের বিকাশ ঘটাতে পারছেন না। দেশ ও সমাজের অধিকতর উন্নয়নের স্বার্থে সেই সব সুযোগ না পাওয়া মেধাবী তরুন-যুবাদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানোর এক অরাজনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক প্ল্যাটফর্ম হবে ঢাকা যুব সংঘ। দল বা ধর্ম নয়। শুধুমাত্র দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলীই হবে ঢাকা যুব সংঘে’র সদস্য হওয়ার প্রধান শর্ত ও যোগ্যতা।
Discussion about this post