নিলয়, স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েও যেনো সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তবে ঘরের মাঠে সমর্থকদের ভরসা ছিলো বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির উপরে। সমর্থকদের হতাশ করেন নি এলএমটেনও। শেষ মূহুর্তে ফ্রি কিক থেকে নেওয়া শটে গোল করে দলকে এনে দেন জয়। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুভসূচনা করলো কাতার বিশ্বকাপ জয়ী দলটি।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পরে চারটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেললেও আকাশী নীলদের এটিই ছিলো প্রথম পরিক্ষা। কারণ ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের যাত্রা। ঘরের মাঠ বলে আর্জেন্টাইনরা কিছুটা এগিয়ে থাকবে তা ছিলো স্বাভাবিক বিষয় তবে প্রতিপক্ষের কাছে এতটা কঠিন পরিক্ষা দিতে হবে সেটি হয়ত ভাবেননি আর্জেন্টাইন ভক্তরা। খেলার শুরু থেকে আর্জেন্টাইনরা ডমিনেট করলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইকুয়েডরও। যার ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধে শট অন টার্গেট নিতে পারেননি স্কালোনির শিষ্যরা। অন্যদিকে মেসিদের প্রতিরোধ করলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয় ইকুয়েডরও। আর তাই গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যেতে হয় উভয় দলকে।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলবারে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও ধার বাড়ায় আর্জেন্টাইনরা। গোলের মুখ দেখতে অপেক্ষা তাই ম্যাচের ৭৮তম মিনিট। দারুন খেলতে থাকা ইকুয়েডর ভুল করে বসে নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে। বিপদজ্জনক জায়গায় লাওতারো মার্টিনেজকে ফাউল করেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার। ফ্রি কিক নিতে আসেন দলের অধিনায়ক বর্তমান ইন্টার মায়ামীর হয়ে মাঠ কাপানো লিওনেল মেসি। ফ্রি কিকে অসংখ্য গোল উপহার দেওয়া মেসি এবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেন না। ইকুয়েডরের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে আদায় করে নেন ম্যাচের জয়সূচক গোলটি। এর সাথে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রথম গোলটির দেখা পেয়ে যান সাতবার ব্যালনডি জয়ী এ ফুটবলার।
Discussion about this post