ঢাকা-০৫ আসন উপনির্বাচন মনোনয়ন যেকোনো সময় ঘোষণা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ত্যাগী ও তৃণমূল পর্যায়ের স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ দের দলে যায়গা দেওয়া হবে।
ঠিক সেই দিক থেকে পর্যালোচনা করলে ঢাকা-০৫ আসনে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে বৃহত্তম ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্না এমনটাই বলছেন ঢাকা-০৫ আসনের তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বৃন্দ।
গতকাল বিকেলে ৬৩ নং ওয়ার্ড, কাজলারপাড়় এলাকায় ৬৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আহবায়ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি-২০২০, মোঃ মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে ঢাকা-০৫ সংসদীয় আসন উপ নির্বাচন ২০২০ উপলক্ষে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন প্রত্যাশী হারুনর রশিদ মুন্নার নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিিত ছিলেন ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু।ঢাকা-০৫ আসন নির্বাচন
উপলক্ষে হারুনর রশিদ মুন্না বলেন, দুই এক দিন পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-০৫ আসনের মনোনয়ন ঘোষণা করবেন। আমি হারুনর রশিদ মুন্না ঢাকা-০৫ আসনের আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের তৃণমূল নেতা হয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগ তিতিক্ষা করেছি দলের জন্য। ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর আওয়ামিলীগ ঘোষিত হরতালে যাএাবাড়ি চৌরাস্তায় পিকেটিং করা কালে বিএনপি ফ্রিডমপাটির ক্যাডাররা আমাকে হত্যা করার উদ্যেশে রক্তাক্ত করে। তখন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দেখতে হাসপাতালে যায়।
১৯৯৪ সালে নয় মাস জেলে থাকতে হয়েছে আমার। সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে ৬৪টি মামলা, ৪৯দিন রিমান্ড সহ ৯মাস জেল খেটেছি আমি। বিবাহের ৩মাস পর জেলে গেলে সন্তান জন্ম নিলে সদ্য নবজাত সন্তানকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। তবে, ইনশাআল্লাহ দল থেকে মনোনীত হলে মরহুম সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করবো।২০০৮ সালে নেত্রীর মুক্তি ত্বরান্বিত করতে আমি যাএাবাড়িতে ২,৯৮,৭৭০ টি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মহানগর কার্যালয়ে জমা দেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ঢাকা-৫ এর অর্ন্তগত সকল ইউনিয়নের সভাপতি-সাঃসম্পাদক ও ঢাকা সিটি কর্পোঃ ওয়ার্ড কমিশনার ও সভাপতি- সাঃসম্পাদক বৃন্দ মনোনয়ন বোর্ডকে রেজুলেশন করে অনুরোধ করেন। সে বিবেচনায় এবং আমার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ত্যাগকে মূল্যায়ন করলে বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে ঢাকা-০৫ আসনের নৌকা প্রার্থীর যোগ্য দাবিদার মনে করে মনোনীত করবেন আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি ঢাকা-০৫ আসন সংসদীয় এলাকার উপনির্বাচন নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করব। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে পারি। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমি এই ৩০ বছরের রাজনীতিতে আমি কোন জায়গা থেকে ২ টি টাকা খেয়েছি তাহলে তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেব। প্রয়োজনে আমার মেসেঞ্জারে এভিডেন্স মেসেজ দিয়ে পাঠাবেন।
আমার বড় ভাই মরহুম হাবিবুর রহমান মোল্লার পর আমি এই ঢাকা-০৫ আসনের সবচেয়ে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। আমাকে নিয়ে সম্প্রতি ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অগোচরে ভুল জালিয়াতি স্বাক্ষর নিয়ে নেত্রীর কাছে পৌঁছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র রুখতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা সব সময় সজাগ রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা জানা যাবে। আল্লাহর রহমতে আমাকে এই উপনির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকার টিকিট দিবেন এটা আমার বিশ্বাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, গিয়াস উদ্দিন গেসু, ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ গাজী, ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ রফিকুল, দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বাকের, ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, সাধারণ সম্পাদক, গাজী শামীম আহমেদ, মাকসুদুর রাহমান সুজন, খান মনি, জাহিদ হাসান জুয়েল, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মোস্তফা হাসমত, আলী হোসেন, জাকারিয়া রহমান রাশেল, মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন, এম এইচ বকুল, ডাঃ শওকত আলী, তানভীর আলম, কাজী শরীফ উদ্দিন মানিক, মান্নান, লাকি, আলমগীর ভূঁইয়া, নিশাত, নীরব, ইফতেখার, জাহিদ হাসান লাট, নজরুল ইসলাম, আজিজ, কাকলি, সেলিনা, হৃদয়, সুজন, সাইফুল ইসলাম, রাফসান সানী সহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ঢাকা-০৫ আসন।
Discussion about this post