মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহে বাল্যবিয়ে বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিয়ের মণ্ডপে বরকে রেখে পালালেন বর ও কনের বাবা-মাসহ বিয়ে বাড়ির সকলে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম। পরে বাল্যবিবাহ দেবেন না মর্মে কনের চাচার কাছ থেকে মুচলেকা ও দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া (১৫) এক ছাত্রীর সঙ্গে জামালপুর পৌরসভার দেওয়ানপাড়া এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী পলাশের (৩২) সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল। সন্ধ্যায় বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। এসময় বর ও বরযাত্রী সবাই বিয়ে বাড়িতে ছিল। হঠাৎ বিয়ে বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ইউএনও উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যান বর ও কনের বাবা-মা।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করি। অভিযান পরিচালনার সময় বর ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে কনের চাচাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত বলেও তিনি মনে করেন।
Discussion about this post