এস.এম আরিফুল ইসলাম আরিফ:
মহামারি করোনায় বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। বর্তমানে ইন্ডিয়ায় নতুন ধরনের করোনা সনাক্ত হয়,যা এযাবৎ কালের বেশি মানুষ দ্রুত আক্রান্ত ও মৃত্যু বরণ করে। আতংক ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও।
যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক বিভিন্ন প্রয়োজনে ইন্ডিয়ায় আটকে ছিলো তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে চৌদ্দ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে। স্থলবন্দর যশোর বেনাপোল ও চুয়াডাঙ্গার দর্শোনা হয়ে যে সমস্ত ব্যক্তি দেশে ফেরেন তাদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ঝিনাইদহের এইড কমপ্লেক্স, পিটিআই, ও আজাদ রেস্টহাউজে অস্থায়ী সেন্টার করেন।
অনান্য সেন্টারের তুলনায় এইড কমপ্লেক্সের পরিবেশ, উন্নত খাবার ও সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের কাছে বিশেষ চাহিদা তৈরি হয়েছে। যেখানে অন্য সব কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বিষয়ে নানা অভিযোগ উঠছে সেখানে এইড কমপ্লেক্স কিভাবে এতো চাপে অতিথিদের সেবা দিচ্ছে? এ বিষয়ে এখানকার ব্যবস্থাপক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান বলে- এইড এর প্রতিষ্ঠাই হলো মানু্ষ ও মানবতার সেবার লক্ষ্যে। প্রতিটি কর্মী জীবন বাজি রেখে বিপদগ্রস্ত অতিথিদের সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি এইড করোনার মানবিক সংকটে সেবকের ভূমিকা পালন করবে বলে এইডের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
এ পর্যন্ত ৮৪ জন নাগরিক এইড কমপ্লেক্সে আগমন করেছে। চৌদ্দদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর নেগেটিভ সনদপত্র নিয়ে ৪৯ জন বিদায় নিয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের জব্দকৃত পাসপোর্ট হস্তান্তর করে। মাত্র ৩ জনের পজেটিভ হলে তাদের কে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আইসুল্যাশন সেন্টারে পাঠানো হয়। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।
Discussion about this post