নিলয়, স্পোর্টস ডেস্ক:
সুপার ফোরের লড়াই শেষে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অপেক্ষা ফাইনালের মহারণ। গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে যুদ্ধ শেষে যোগ্য দল হিসেবে চলতি আসরে ফাইনালে উঠেছে ভারত-শ্রীলঙ্কা উভয়দল। এশিয়া কাপে দুই দলের রয়েছে সুখকর স্মৃতি। দুই দলই সাবেক চ্যাম্পিয়ন। আজ শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৩:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনালের মহারণ। ফাইনাল শেষে জানা যাবে ভারত অষ্টম শিরোপার মালিক হচ্ছে নাকি সপ্তমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলবে শ্রীলঙ্কা।
বর্তমানে এশিয়া কাপের ষোলতম আসর চললেও ১৯৮৪ সালে সর্বপ্রথম তিনদল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টি। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম টুর্নামেন্টেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। পরবর্তী আসর অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় লঙ্কানরা। এরপর টানা তিনটি আসর চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপার হ্যাট্রিক করেন ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি ধর ভারত। ভারতের হ্যাট্রিক শিরোপা জয়ের প্রতিপক্ষ ছিলো লঙ্কানরাই। ১৯৯৭ সালে এশিয়া কাপের ষষ্ঠ আসরে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা ভারতকে হারিয়ে সেবার দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে লঙ্কানরা। ২০০০ সালের সপ্তম এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
এরপর টানা দুইবার এশিয়ার মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরায় উদ্ধার করে লঙ্কাবাহিনী। ২০১০-১২ তে ভারত পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হলেও ২০১৪তে আবারও চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে এশিয়া কাপের দ্বিতীয়তম সফল দল শ্রীলঙ্কা। ২০১৬ ও ১৮ তে বাংলাদেশকে হারিয়ে টানা দুইবার শিরোপা জিতে টিম ইন্ডিয়া। করোনা মহামারির জন্য চারবছর অনুষ্ঠিত হয়নি জমজমাট এ টুর্নামেন্টি। ২০২২ সালে পুনরায় শুরু হলে ভারতকে হারিয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া কাপ যেনো ভারত এবং শ্রীলঙ্কাতেই মিশে আছে প্রতি আসরেই ফাইনালে দুই দলের একদল থাকছেই। এবার চ্যাম্পিয়ন হলে অষ্টম শিরোপার মালিক হবে রোহিত শর্মার দল। অন্যথায় সপ্তম শিরোপার মালিক হওয়ার যোগ্য দাবিদার দাসুন শানাকার দলও। চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে ভারতের এক হার থাকলেও দুই ম্যাচ জিতে শেষ চারে আসে লঙ্কানরা। সুপার ফোরের গল্পটা দুই দলের একই। লঙ্কানরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও হেরে যায় বিরাট কোহলিদের কাছে। অন্যদিকে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারালেও সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে যায় ভারত।
Discussion about this post