শিক্ষকরাও আসেন না নিয়মিত। অনুপস্থিত থেকেও উপস্থিতি স্বাক্ষর। নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। ছাত্র স্বল্পতা। এক কথায় খেয়াল খুশি মতো চলছে ।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গঙ্গানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৫৩জন। শিক্ষক সংখ্যা ৪ জন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম ছাড়া আর কাউকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। নতুন যোগদানকৃত শিক্ষক ফাহমিদা সুলতানা শিক্ষা অফিসে, শিক্ষক মনোয়ারা বেগম ছুটিতে এবং সহকারী শিক্ষক আব্দুল কাদির সকালবেলা এসে উপস্থিতি স্বাক্ষর দিয়ে যান। পরে প্রধান শিক্ষকের ফোনে সাংবাদিক যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে চলে আসেন স্কুলে তাড়াহুড়া করে। দুপুর দুইটায় স্কুল বাদ দিয়ে চলে যান শিক্ষকরা। এমন অনিয়ম কমলগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের। যেখানে আধাবেলা পাঠদান শেষে ছুটিও দেয়া হয়। অনেক শিক্ষকই নিয়মিত স্কুলে আসেন না।
এ বিষয়ে গঙ্গানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নীল কুমার সিংহ বলেন, বিষয়টি খুবই দূঃখজনক। এ বিষয়ে আমি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করবো।
প্রাথমিক স্কুলের এসব অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়কুমার হাজরা বলছেন, এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক। যার অধিকাংশই চলছে শিক্ষকদের খেয়াল খুশি মতো।
Discussion about this post