সোনারগাঁয়ে করোনা শনাক্ত হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তি কাঁচপুরের তারেক আজিজ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গতরাত ২১ এপ্রিল পালিয়ে গেছেন।জানা যায়, তারেক আজীজ কাঁচপুরের মতিন খাঁন প্লটে লোহার গেট সংলগ্ন ইসমাইল মিয়ার ফরাজী ভিলা নামে একটি আবাসিক ভবনের দারোয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এর স্বাস্থ্য সহকারী সবুজ ভাট্টাচার্য বলেন,শনিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকাস্থ আইইডিসিআর থেকে করোনা শনাক্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তারেক আজিজ শনাক্ত হয়েছেন, রিপোর্টে রোগীর বিস্তারিত কিছুই না থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরোও জানায়, এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্যে তার সন্ধান পাওয়া যায় এবং আমরা যাওয়ার আগেই আজ ভোর রাতে সে পালিয়ে যায়। তারা ধারণা করছেন, তার গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে তার ঠিকানা না থাকায় সে কয়েকদিন আত্মগোপনে থেকে পালিয়ে গেছে। আমি তার গ্রামের বাড়ির স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয় জানাবো। তারা এবিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। তাছাড়া উক্ত বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
বাড়ির মালিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, আজিজের জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি ছিল। সে যশোর জেলার গৌরবনা থানার আকব হাদি গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব ছেলে। বেশকিছু দিন স্থানীয় হাসপাতাল ও ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হওয়ার চর্চা করছিলেন। কিন্তু দারোয়ান আজিজ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কোন টেষ্ট করিয়েছিল কিনা বা তার পজেটিভ আসছে কিনা সে সম্পর্কে জানতেন না।
সোনারগাঁয়ে এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত ১২ জন। তার মধ্যে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে ৫ জন। কাঁচপুর ইউনিয়নে ২জন, পৌরসভার টিপরদীতে ১, শম্ভপুরায় ১, সোনারগাঁ থানার এক মহিলা কনস্টেবর করোনা তার দেশের বাড়ী মন্সিগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে যে ২ জন মারা যান তাদের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের রির্পোট ও পজেটিভ আসে।
Discussion about this post