নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বড় চেঙ্গাইন গ্রামে দোকান বাকির ২শ টাকা না পেয়ে তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে দোকানদার ও তার লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মোসাৎ আখি আক্তার বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়া তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা যায়, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বড় চেঙ্গাইন গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে অপু মিয়া একই এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে আলম চাঁনের মুদি দোকান থেকে সদাই নিয়ে ২শ টাকা বাকি রাখেন। ওই টাকা বৃহস্পতিবার বিকেলে অপুর কাছ থেকে দাবি করেন দোকানদার আলম চাঁন। পরে অপু মিয়া ওই টাকা পরদিন দিয়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন। পরবর্তীতে অপু মিয়ার স্ত্রী আখি আক্তার সন্ধ্যার দিকে ওই দোকানে নগদ টাকায় সদাই আনতে গিয়ে পাওনা টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটির হয়। এক পর্যায়ে আখিঁ আক্তারকে মারধর ও কাপড় চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানী করে। খবর পেয়ে অপু ও তার ভাগিনা মো. সুমন মিয়া ঘটনাস্থলে আসলে আলম চাঁন, রফিকুল ইসলাম,রনি, কাউসার ও ফারুক দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, দা, রামদা নিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে মো. সুমন মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে।
আহত অপু মিয়া জানান, দোকান বাকির ২শ টাকা পরদিন দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তার স্ত্রী দোকানে গেলে টাকার জন্য গালিগালাজ, মারধর ও শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে আমাদের তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
অভিযুক্ত আলম চাঁনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, পাওনা টাকা না দেওয়ার কারন জানতে চাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর হামলা করে। পরে উত্তেজনায় উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। আমিও থানায় অভিযোগ দিবো।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post