মাসুদ হাসান:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর থেকে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ফাতেমা (১৪)নামের এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা কুটি মিয়া গত ২ মার্চ রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অভিযোগ রয়েছে,মেয়ে অপহরণের পর ছেলের পরিবার এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে তারা।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া কলাপট্টি এলাকায়।অপহরণের শিকার মেয়েটি পাশের কাঁচপুর তাজ আইডিয়াল স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ৯টায় বাসা থেকে বেড় হয় স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পরে ১১টার দিকে স্কুল থেকে মেয়ের মা খবর পায় তার মেয়ে স্কুলে আসেনি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন যায়গায় খোজাখুজির পরে জানতে পারে কাঁচপুর মসজিদ মার্কেটের কাপড়ের দোকানের কর্মচারী আরমান (২২)অজ্ঞাত এক সিএনজিতে জোর করে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
অপহরণকৃত ওই মেয়ে কাঁচপুর কলাপট্টি এলাকার মহিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কুটি মিয়ার সন্তান। তারা ২০ বছর যাবত এই এলাকায় ভাড়া থেকে। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কোলকোনা এলাকায়।
ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা কুটি মিয়া জানায়,আমি এই এলাকায় পিঠা বিক্রি করি।খুবি অসহায় ভাবে দিন যাপন করছি আমার এক মাত্র মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে আরমান নামে এক ছেলে। ঐছেলের পরিবার সোনাপুর এলাকার মাসুদ সরদারের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তাদের অনেক বলার পরেও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে সাহায্য করেনি।এখন তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের কোনো সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আব্দুল মোতালিব জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি ভিকটিমকে এখনো উদ্ধার করতে পারিনি, আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
Discussion about this post