যশোর জেলা প্রতিনিধি, মনিরুজ্জামান মনির:
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ আজ মঙ্গলবার দেখা গেলে আগামীকাল বুধবার ঈদ উৎযাপিত হবে। তাই আতর ও টুপি-জায়নামাজের দোকানে ভিড় জমে উঠেছে।
অধিকাংশ মানুষ ঈদকে আনন্দমুখর করতে নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন জুতা এবং কসমেটিকস সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটার কাজটাও শেষ করেছেন আগে ভাগেই। আর এ কেনাকাটার পাশাপাশি নতুন টুপি, সুগন্ধি আতর, সুরমা থাকবে না, সেটাও হতে পারে না। তবে বিক্রেতার জানান ঈদুল ফিতরের চাঁন রাতে টুপি, আতর, সুরমা এবং জায়নামাজ কিনতে ঈদের আগের দিনটিকেই বেছে নেন ক্রেতারা। যশোর শহরসহ বিভিন্ন দোকানে নিত্যনতুন ডিজাইনের টুপি, সুগন্ধি আতর এবং জায়নামাজ শোভা পাচ্ছে। রাস্তার পাশে, ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে টুপি-জায়নামাজ, তসবিহ, আতর-সুরমার পসরা সাজিয়ে বসেছে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এসবের দাম।
এ বছর ঈদে বাংলাদেশী, সৌদি আরব, আফগান, জার্মান, পাকিস্থান, ভারত, তুর্কিস্থান, নেপাল এবং চায়নাসহ বিভিন্ন প্রকারের টুপি, তসবি, জায়নামাজ রয়েছে দোকানে। সাথে এ দোকানেই রয়েছে বিভিন্ন সুগন্ধি জাতীয় আতর, সুরমা।
যশোর মোল্যা পাড়ার সাঈদ হোসেন জানান, একটি বছর পরে ঈদুল ফিতর আসে আমাদের মাঝে। ঈদ মানে আনন্দ। আর সেখানে কেনাকাটার পাশাপাশি নতুন টুপি, সুগন্ধি আতর, সুরমা থাকবে না, সেটা হতে পারে না। সবাই এক সাথে নতুন পোশাকের সাথে ম্যাচ করে টুপি মাথায় দিয়ে ঈদ গাহে ঈদের নামাজ পড়তে যাবো ইনশাআল্লাহ। তাই পাঞ্জামির সাথে ম্যাচ করে টুপি কিনতে আসছি। সাথে পরিবারের জন্য আতর সুরমাও কিনবো।
যশোর ক্যান্টনমেন্টের ইয়াসিন আহম্মেদ জানান, ভাই ঈদে নতুন টুপি থাকবে না সেটা হতে পারে না। ঈদ বাজারের পাশাপাশি ঈদের নামাজে এগুলো না হলে যেন ঈদের কেনাকাটা অপূর্ণতা থেকে যায়। পাঞ্জাবির সাথে সবারই টুপি কেনা হয়েছে। আতর সুরমা কেনার জন্য আসছি।
জাকির হোসেন জানান, ঈদের টুপি কেনা হয়ে গেছে। আর চাঁন রাতে আতর কিনবো। নতুন পোশাকের সাথে নতুন টুপি। এ ঈদের মাধ্যমে আমরা ধনি-গরিব এক হয়ে যায়। কারণ এক মাস সিয়াম সাধনা করে আমরা নতুন পোশাক পরে ঈদ গায়ে নামাজ আদায় করি। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি।
ফয়সাল আহম্মেদ জানান, আতর, সুরমা মাখা নবীর সুন্নাত। ঈদের দিন সকালে উঠে গোসল করে নতুর পোশাক পরে আতর এবং সুরমা মাখতেই হবে। আতর মেখে ঈদ গাহে যেত হবে। প্রতি বছর ঈদের আগে আতর, টুপি কেনা হয়। এ বছরও তাই আতর কিনতে আসছি। ভালো সুগন্ধি আতরের জন্য যশোর বড় বাজারের টুপির দোকানে আসছি।
মাদানী ষ্টোরের মিজানুর রহমান জানান, এ বছর ঈদ উপলক্ষে ইনশাআল্লাহ খুব কেনা বেচা হচ্ছে। ক্রেতাদের সাথে দামে হলেই অল্প লাভ করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আসলে টুপি এবং আতরের বেচাকেনা জমে উঠেছে। আসা করি এ বেচাকেনা ঈদের চাঁন রাত পর্যন্ত হবে। আবার এ বছর ভালো জায়নামাজও বিক্রি হচ্ছে। আসলে আমরা সারা বছরের বেচাকেনা দু’ঈদের মুখো তাকিয়ে থাকি। তবে আমাদের এখানে ক্রেতাদের চাহিদা মত আতর, টুপি এবং জায়নামাজ পাচ্ছে। আমাদের দোকানে বাংলাদেশী, সৌদি আরব, আফগান, জার্মান, পাকিস্থান, ভারত, তুর্কিস্থান, নেপাল, চায়নাসহ বিভিন্ন প্রকারের টুপি রয়েছে।
ফারক ষ্টোরের ইরফান হোসেন জানান, ভাই টুপি আর আতর খুব বিক্রি হচ্ছে। চাঁন রাত পর্যন্ত এমন ভাবে বিক্রি হবে। আমাদের দোকানে আসলে ক্রেতারা কেউ ফিরে যাচ্ছে না। যদি টুপি কিনতে আসছে সাথে আতরও কিনছে। আমাদের এখানে কম দামে ভালো আতর টুপি পাচ্ছে। সবাইকে ঈদ মোবারক।
Discussion about this post