জাকির হোসেন,যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার ২২দিনের সদ্যজাত শিশু রাকিদুল ইসলামের পাশে এবার দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। উপজেলার শাহ-আলম মরজিনা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে শিশু রাকিদুল ইসলাম।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে শার্শা উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামে শিশু রাকিদুলের বাড়িতে চাল, ডাল,তৈল,দুধ,তরিতরকারি সামগ্রী নিয়ে অসহায় পরিবারের পাশে গিয়ে দাড়ান উদ্ভাবক মিজানুর রহমান।
চলমান কঠোর লকডাউনে”সন্তানের জন্য খাবার কিনতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন বাবা”এই শিরোনামে দুইদিন যাবত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হবার পর বিষয়টি নজরে আসে মানবতার ফেরিওয়ালা দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে এ খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় পরিবারটির পাশে দারিয়েছেন তিনি।
শিশু রাকিদুল ইসলামের বাবা শাহ-আলম বলেন, আজ দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা ভিশন খুশী। তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
দেশসেরা উদ্ভাবক মিজান বলেন, করোনাকালীন সময়ে কঠোর লকডাউনে শাহ-আলম গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। সে একজন সিএনজি চালক। তার পরিবারে চার সন্তান। পরিবারসহ সদ্যজাত শিশু খাদ্য সংকটে রয়েছে জানতে পেরে অসহায় পরিবারের মাঝে চাল,ডাল, তৈল,দুধ তরিতরকারি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই সমাজের বিত্তবানদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখঃ২২ দিন বয়সী শিশু সন্তান। বাবা সিএনজিচালক। তবে কঠোর লকডাউনে তার আয় বন্ধ। তাই সন্তানের দুধ কিনতে পারছেন না শাহ আলম। সন্তানের কান্না সহ্য করতে না পেরে লোকালয়ে নেমে পড়েছেন তিনি। যাকে পাচ্ছেন তার কাছেই অশ্রুচোখে সাহায্যের জন্য আবেদন করছেন তিনি।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে। শাহ আলম ওই এলাকার একজন সিএনজিচালক।
কান্না জড়িত কন্ঠে শাহ আলম বলেন, আমি একজন সিএনজি চালক। আমার পরিবারের আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। সরকারের ডাকা লকডাউনে গত ২৩ জুন থেকে সড়কে গাড়ি চালানো নিষেধ হয়। এরপর থেকে আর গাড়ি চালাতে পারিনি। কয়েকদিন এর ওর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পাচ্ছি না।
Discussion about this post