সোহেল কবির, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
পর্দা নামলো ২৬তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। নববর্ষের প্রথম দিন গত ০১জানুয়ারি পূর্বাচল নতুন শহরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি)-এ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসরের পর্দা উন্মোচিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি, এমপি।
সোমবার ( ৩১ জানুয়ারী) পর্দা নামলো ২৬ তম আর্ন্তজাতিক বানিজ্য মেলার।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। বিশেষ অতিথী মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি, এমপি।
বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, নতুন জায়গা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও করোনা প্রার্দূভাবের কারনে বানিজ্য মেলা নিয়ে আমাদের ভয় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্তু আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল।
মাসব্যাপি এই মেলা হলেও ব্যাবসায়ীরা স্থানটিতে বছর ব্যাপী নানাণ ধরনের আয়োজন করতে পারবো। করোনার মধ্যেও এ বছর আমরা একান্ন বিলিয়ন ডলার রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আমরা আশাবাদী । ২০২৪ সালে আমরা ৮০ বিলিয়ন ডলার রপ্তাণী লক্ষমাত্রা নিয়েছি। ২০২৬ সালে আমরাউন্নয়নশীল দেশে যাবো। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পৌছাবো। সে
লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সবদিক বিবেচনায় আমরা বেশ ইতি বাচক একটি অবসথানে
আছি। নতুন করে আমরা চারটি দেশেে সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে যাচ্ছি। আমাদের তৈরী পোশাকের অবস্থা খুবই ভালো আছে। চায়না থেকে ব্যবসা সরে আসা ভিতেনামের শ্রমিক সংকট ও মায়ান মারের রাজনৈতিক সংটের কারনে আমরা
প্রচুর ক্রেতা পাচ্ছি। এটা ধরে রাখা গেলে আর লেদার আইটি ও পাটজাত পণ্য রপ্তানী বাড়ানো গেলেই আমাদের লক্ষ মাত্রা পূরন হবে। সেজ্য এ ধরেনেরমেলা আয়োজনের বিকল্প নেই। এসব মেলা আমাদের পন্য প্রর্দশনের সুযোগ তৈরীল পাশাপাশি বিদেশী ক্রেতা ও বিক্রোতাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটে।শেষ পর্যন্ত সফল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা দৃশ্চিন্তা মুৃক্ত হয়েছেন।আগামী বছর যোগাযোগ সমস্যা সমাধােনের পাশাপাশি মেলার পরিধি আরো বাড়বে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, এ মেলা বাণিজ্য মেলার পাশাপাশি আনন্দ মেলায় পরিণত হয়েছে। করোনার মধ্যেও আমাদের
দেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি সেটা অবিশ্বাস্য । ব্যবসায়ীর জন্য বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও প্রনোদনার ব্যবস্থা করে প্রধানমন্ত্রী এ অগ্রগতির সুযোগ করে
দিয়েছেন। বাস্তবতার বিবেচনায় আগামী বছর মেলার পরিধি বাড়ানোর আহবান জানান তিনি। আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহ সভাপতি এ.এইচ.এম. আহসানসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post