নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্র মহল অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে ভাঙনের হুমকিতে নদীর তীরবর্তী বসত বাড়ী ঘর সহ আশে পাশের শিল্প প্রতিষ্ঠান।
প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত নৌ-যান জব্দ করা হলেও, কোনোভাবেই মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদীর তলদেশ থেকে একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ অবাধে অপরিকল্পিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙন। অপরদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের এলাকায় অবস্থিত আমান গ্রুপ ইন্ড্রাস্ট্রিজ ঘেঁষা মেঘনা নদীতে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী রোবায়েত হোসেন শান্ত, পিতা ঃ হোসেন অনেক আলোচিত রাজাকার সোলাইমানের নাতি, এ ছাড়া একি এলাকার নবী হোসেন যুবগীল নেতা। নজরুল, পিতা মৃত্যু শহিদুলাহ। আলামিন মৃত্যু নুরুমিয়া। রকি, পিতা ইসমাঈল মেম্বার। এবং ইসমাঈল মেম্বার সহ। মোহাম্মদ আলী মেম্বার পিতা মৃত নুরুল ইসলাম। এরা সবাই হলো এ চক্রের মুল হোতা এ ছাড়াও প্রশাসনের কিছু অসত লোকদের ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে এ বালু কাটার কাজ বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন মেম্বার ও একই ইউনিয়নের চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত নৌ চাঁদাবাজ আল আমিন তাদের নিজস্ব জিদান – ৩, জিদান – ৪ ও মা বাবার দোয়া নামের শক্তিশালী ড্রেজার সহ অসংখ্য ড্রেজার দিয়ে মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ও বিক্রয় করে যাচ্ছে ।
দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে। অবৈধ বালু উত্তোলন করার দায়ে ইতিপূর্বে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন শ্রমিকদের জেল- জরিমানা ও বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত নৌ-যান জব্দ করলেও কোনোভাবেই তাদের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা বন্ধ করতে পারেনি।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে আমান ইকোনমিক জোন ও এলাকার বাড়ি – ঘর ও ফসলি জমি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী রোবায়েত হোসেন শান্ত একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ উত্তোলনের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
তারা বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সোনারগাঁও উপজেলা বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যক্রমের উদ্যোগ দেখতে চায় এলাকাবাসী। দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা পরিচয় দানকারী বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের রোবায়েত হোসেন শান্ত মালিকানাধীন যুব লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রোবায়েত হোসেন শান্ত, পিতা হোসেন হারিয়া, রাজাকার সোলায়মানের নাতী। নবী হোাসেন যুব লীগ নেতা, নজরুল পিতা মৃ শহিদুললাহ, গ্রাম টেকপাড়া। আলামিন পিতা মৃত নুরু মিয়া,, রকি পিতা, ইসমাইল মেম্বার, ইসমাইল মেম্বার পিতা, কাজেম আলী গ্রাম গাবতলী, মোহাম্মদ আলী, পিতা রব চেয়ারম্যান, মোহাম্দ আলী মেম্বার পিতা মৃত নুরুল ইসলাম পাগলা গ্রাম হরিগন্জ। সোনার গাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান সাহেব ড্রেজার মাতাবর নজরুলের তত্তবধনে চলে, বাবা মায়ের দোয়া রোবায়েত হোসেন শান্তর তত্তবধনে চলে, মা বাবার স্মৃতি নবী চালায়, আরো নাম দিচ্ছি , পরে। সহ অসংখ্য শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে রাতদিন ২৪ ঘন্টা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। রোবায়েত হোসেন শান্ত, ইসমাইল হোসেন মেম্বার ও আল আমিন এই বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট মূলহোতা।
এঁরা শুধু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে খান্ত নয়। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিআইডব্লিউটি এর রশিদ ছাপিয়ে তা দিয়ে প্রতিদিন মেঘনা নদীতে মালবাহী নৌযানে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে । ওই চক্রটির নেই কোনো বালু উত্তোলনের অনুমতি বা অনুমোদন। পেশি শক্তি ব্যবহার করে প্রতিদিন কেটে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার বালু।
কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোবায়েত হোসেন শান্ত শুধু কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা পরিচয় দানকারী। আমি কেন্দ্রীয় যুবলীগের অনেক নেতার কাছে জেনেছি, কেন্দ্রীয় যুবলীগে কাগজে কলমে রোবায়েত হোসেন শান্তর কোনো নাম নেই।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ইতিপূর্বে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন সংশ্লিষ্টদের জেল – জরিমানা করা হয়েছে।
জব্দ করা হয়েছে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত নৌ-যান। এতো কিছুর পরেও কোনো ভাবেই মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন শীঘ্রই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালানো হবে ।
Discussion about this post