রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদর বৃন্দাবন পাড়া জামাল উদ্দীন খাজা হত্যাকান্ডের হোতাকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া ডিবি পুলিশ।হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি লোহাড় শাবলও উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাত পৌণে ১১ টার সময় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বগুড়া ডিবি।
গ্রেফতারকৃত আসামি বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার রানিরহাট বয়ড়াদিঘী এলাকার মৃত কছিমউদ্দীনের ছেলে মোজাফফর হোসেন (৫০)।সে নিহত জামাল উদ্দীন খাজার আপন ভগ্নীপতি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়া ডিবি সাইয়ান ওয়ালীউল্লাহ জানান ,আসামি মোজাফফরের প্রায় ২ বছর পূর্বে প্রেম ছিল জামাল উদ্দীনের স্ত্রী জেসমিনের।আসামি মোজাফফর প্রায়ই বিয়ের জন্য চাপ দিত জেসমিনকে, কিন্তুু এই সম্পর্ক থেকে বের হতে চেয়েছিল জেসমিন , কিন্তুু আসামি তাকে বিয়ের জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে।
শুক্রবার(২৫ নভেম্বর) ফুলদিঘী থেকে খাজার স্ত্রী তার ছেলেকে রিমনকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদমোহা হরিপুর খেরুয়াপাড়া যায় এবং খাজা সন্ধ্যার আগে নিজ বাড়িতে যায়। খাজার স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মোজাফফর ওইদিন রাত পৌণে ৯টার দিকে খাজার বাড়িতে যায়। সেখানে যেয়ে খাজাকে উত্তেজিত করার জন্য তার স্ত্রীর এর সম্পর্কে নানা ধরণের অশালীন ও বাজে কথাবার্তা বলতে থাকে। এতে খাজার সাথে মোজাফফরের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে মোজাফফর ঘরের মধ্যে থাকা লোহার শাবল দিয়ে খাজার মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে। এতে খাজা মারা যায়। পরে মেঝেতে লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে শয়নকক্ষের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেওয়াল ডিঙিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে শনিবার সকালে খাজার ছেলে রিমন তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসে দরজায় ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোন শব্দ পায় না। পরে ছেলে বাড়ীর প্রাচীর ডিঙিয়ে ভেতরে গিয়ে দরজা খুলে খাজার মরদেহ দেখতে পায়।
ওসি সাইহান বলেন, গ্রেফতারকৃত মোজাফফরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Discussion about this post