নিলয়, স্পোর্টস ডেস্ক:
এশিয়া কাপ আসলেই যেনো আশায় বুক বাঁধে টাইগার সমর্থকরা। কারণ আইসিসির স্বীকৃত কোন টুর্নামেন্টে ফাইনাল উপহার না দিতে পারলেও একাধিকবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তাই এশিয়া কাপ আসলেই টাইগার ক্রিকেটারদের নিয়ে মেতে থাকে ঘোটা বাংলাদেশ।
সাকিব-মুশফিকরা ক্রিকেটের যে ফরম্যাটে বেশ অভিজ্ঞ এবার এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সে ফরম্যাটেই। তাই সমর্থকদের স্বপ্নটাও আকাশচুম্বি। এশিয়া কাপ মিশনে টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে সাকিব বাহিনীর চেয়েও যে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাঘ-সিংহের লড়াইয়ে মাঠে কে এগিয়ে থাকবে সেটি দেখায় অপেক্ষায়।
শ্রীলঙ্কার পাল্লাকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের মহারণ শুরু হবে আজ বিকেল ৩:৩০ মিনিটে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে যে কোন দলের জন্য বেশ কঠিণ প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় দলের দায়িত্ব নেওয়া কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও বেশ আত্নবিশ্বাসী লঙ্কানদের হারাতে।
দুই দলের ওয়ানডের পরিসংখ্যান টাইগারদের পক্ষে কথা না বললেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জয় ছিনিয়ে নেন লাল সবুজ বাহিনী। দুই দলের মোট ৫১ দেখায় ৪০ টি ম্যাচ জিতে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের ৪০ জয়ের বিপক্ষে মাত্র ৯ টি ম্যাচ জয় পায় বাংলাদেশ। দুইটি ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। ১৩ লড়াইয়ে ১১ জয় কুমার সাঙ্গাকারার দেশের মাত্র দুইটি জয় বাংলাদেশের। তবে সব শেষ ১০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ছয় জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে চারটি। দাসুন শানাকার দলের অতীত পরিসংখ্যান আত্নবিশ্বাস যোগালেও বাংলাদেশ এখন কঠিন প্রতিপক্ষ। তাই মাঠে শতভাগ উজাড় করে জয় দিয়েই এশিয়া কাপ শুরু করতে চাইবে বাংলাদেশ।
পাল্লাকেলেতে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে রানের জন্য খুব কষ্ট করতে হয়নি ব্যাটারদের। নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় বাঘ-সিংহের লড়াইটাও হতে যাচ্ছে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে। প্রথম ব্যাটিং পাওয়া দলকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে একটি ভালো টার্গেটের দিকে। সে ক্ষেত্রে বড় ইনিংসের দায়িত্বটা এসে পড়ে টপ অর্ডারদের। এখনটায় কিছুটা ভোগাবে সাকিব বাহিনীকে। কারণ অসুস্থার জন্য দল থেকে ছিটকে গেছেন দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার লিটন কুমার দাস। তাই দলের ব্যাট হাতে ইনিংস সূচনার জোর সম্ভাবনা প্রথমবার দলে ডাক পাওয়া তানজিদ হাসান তামিমের। যিনি ব্যাটিং প্রতভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দলে। তামিম সাথে পাবেন এনামুল বিজয় কিংবা নাঈম শেখকে। তারণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশলে দলকে এগিয়ে নিতে হবে তাদেরকেই।
তিনে খেলা নাজমুল শান্ত রয়েছেন সাম্প্রতিক ফর্মে। টপ অর্ডার ফেল করলে দায়িত্ব আসবে কাপ্তান সাকিব ও অভিজ্ঞ মুশফিকের উপর। ব্যাট হাতে রানেই আছেন সাকিব-মুশফিক দুজনেই। এ ক্ষেত্রে লঙ্কানদের চেয়েও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। কারণ অভিজ্ঞতার দিক বিবেচনায় ব্যাটিংয়ে যোযন যোযন এগিয়ে টাইগার বাহিনী। লঙ্কান ক্রিকেটার কুশাল ফেরেরা ও কুশাল মেন্ডিজ কিংবা দিমুত করুনারত্নে পিছিয়ে পড়বে অভিজ্ঞতায়। তার উপরে টাইগারদের স্বস্তি দিবে ওয়াওনেন্দু হাসারাঙ্গার দলে না থাকা। তাসকিন ও মুস্তাফিজের সাথে হাসান মাহমুদের বোলিংয়েও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
Discussion about this post