মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় আঁখি আক্তার নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার টুবিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্বজনরা জানায়, দেড় আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার টুবিয়া গ্রামের কালাই ফকিরের মেয়ে আঁখি আক্তারের সাথে একই গ্রামের মৃত হায়দার বেপারীর ছেলে আরিফ বেপারীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও দেয়া হয় আঁখির পরিবার থেকে। কিন্তু এরপরও প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য আঁখির উপর মানসিক নির্যাতন শুরু করে আরিফ। পরিবার দরিদ্র হওয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আঁখির উপর শুরু হয় প্রতিনিয়ত শারিরিক নির্যাতন। একপর্যায়ে গত এক সপ্তাহ ধরে নির্যাতনের পরিমান বাড়িতে দেয় আরিফ। বিষয়টি এলাকার মুরুব্বিদের জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার বিকেলে আঁখিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঘরের আড়ার উপর ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে স্বজন ও এলাকাবাসী।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান জানান, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত আরিফ বেপারীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের যেহেতু অভিযোগ আছে, মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post