মেহেদী হাসান, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহে পুত্রের ছুরিকাঘাতে আহত পিতা ওয়াহাব আলী (৫৫) অবশেষে মারা গেলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের আটাবাড়ি গ্রামে। একই ঘটনায় আহত মা নইলে বেগম (৪৫)সহ বাড়ির লোকজন ঘা ঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, ৩১ মার্চ ওয়াহাব আলীর প্রথম স্ত্রী নইলে বেগম (৫০) ও ছেলে রিপন (২৬)’র সাথে কলহ হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ছেলে রিপন তার মা নইলে বেগমকে মারপিট করে হাতের কব্জি ভেঙ্গে দেয়।
নিহত ওয়াহাব আলীর মেয়ে রিনা পারভীন (২৮) জানান-মাতা নইলে বেগমকে মারধরের খবর পেয়ে পরদিন পিতা ওয়াহাব আলী ঢাকা থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী গোলাপীকে (৪৫)কে রেখে বাড়িতে আসেন। দ্বিতীয় দফা তর্কবিতর্ক হল ওয়াহাবের ভাতিজা ফিরলে মিয়া বাবলু (৫০) ও জামাতা শহিদুল ইসলাম (৩৫) ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াহাব আলীর মাথায় আঘাত করে। এ সময় পুত্র রিপন (২৬) ওয়াহাব আলীর পেটে ছুরি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। প্রতিবেশিরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওয়াহাব আলীকে প্রথমে জামালপুর পরে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ এপ্রিল ওয়াহাব আলী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকেই ওয়াহাব আলীর বড় মেয়ে রিনা পারভীন ছাড়া বাকি স্বজনরা ঢাকা গা ঢাকা দিয়েছে।
ওয়াহাব আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী গোলাপী বেগম (৪৫) জানান-পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ডেকে এনে আমার স্বামী ওয়াহাব আলীকে হত্যা করা হয়েছে। ওদিকে গ্রাম্য মাতাব্বরগণ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ মায়নুল ইসলাম জানান-এখনো কেও থানায় মামলা দেয়নি।
Discussion about this post