মেহেদী হাসান, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহে স্বামীসহ পরিবারের লোকজনদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় স্টার কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাকে ‘মিথ্যা’ অভিহিত করে ভুক্তভোগী পরিবারের মোছা. মোর্শেদা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ বছর আগে মেলান্দহের শাহজাদপুর গ্রামের আমার ভাসুর মৃত সুজন মিয়ার ছেলে সৈকত হাসান আকাশের সাথে মাদারগঞ্জের গুনারিতলা গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে হিমি আক্তার ছোঁয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হিমি স্বামীর সংসার না করার জন্য নানা তালবাহানা করেন। পরে আমরা জানতে পারি হিমির অন্যত্র অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সে বাবার বাড়ি গিয়ে আর স্বামীর বাড়ি ফিরবে না বলে জানায়। আমরা এ নিয়ে কয়েকবার পারিবারিক বৈঠকও করেছি। হিমির পরিবার আপোষ মীমাংসার কথা বলে উল্টো আকাশ, আকাশের মা মর্জিনা বেগম ও আমার স্বামী শাহিন মিয়ার নামে নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দেয়।
তিনি আরও বলেন, হিমির পরিবার দেড় লাখ টাকা দেনমোহরকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেখিয়ে কাবিননামা জালিয়াতি করে আদালতে জমা দেন। জেলা রেজিস্টার এই জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছেন। এই মিথ্যা মামলার দায়ে আমার ভাতিজা আকাশ ২৭ দিন ধরে জেলহাজতে রয়েছেন। এছাড়া এই মামলার আরেক আসামি আমার স্বামী শাহিন জামিন নিয়ে ব্যবসার কাজে ভারত যান। স্বামীর অবর্তমানে ৭ ডিসেম্বর এ মামলার শুনানিতে আমি যাই। আমাকে দেখে হাফিজুর রহমান ও তার মেঝো মেয়ের শ্বশুর জিল্লুর রহমান আমার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমারদের পরিবারের নিরাপত্তা ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আকাশের মা মোছা. মর্জিনা বেগম, ফুফাতো ভাই মনোয়ার হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post