মনিরুজ্জামান মনির, যশোর সদর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ আছে, বিদ্যুতের তারও ঝুলানো আছে, নেই শুধু বিদ্যুতের খুঁটি। এমনই অভিযোগ উঠেছে যশোর সদর উপজেলা আরবপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়াডের ধর্মতলা খ্রিস্টান মিশনপাড়া এবং গাজীপাড়া এলাকায়।
এখানে প্রায় ৭’শ বাড়িতে বাঁশের খুটি ও ঘরের সাথে বেঁধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ খুবই ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় বসবাস করে। আবার অনেকের ঘরের টিনের উপর দিয়ে অন্য পরিবারে সংযোগ টানা হয়েছে। অনেক স্থানে তারের ভরে বাঁশ গুলো হেলে পড়েছে। কোথাওবা হেলে থাকা বাঁশ অন্য একটি বাঁশ দাড় করিয়ে রাখা। দির্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের খুটি বসানোর দাবি এবং তিন-তিনবার এলাকাবাসি লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যুৎ অফিসে। কিন্তু অভিযোগেও কোন ফল পাইনি এমনই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
“খোলাডাঙ্গা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ” যেখানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়েরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। আর সেই প্রার্থনালয়েও ছাড় দেয়নি বিদ্যুৎ অফিস। মনে হচ্ছে বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজ। এখানেও বেঁধে রেখেছে ওয়ালে লোহার সিকের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগের তার। এখানে প্রতি শুক্রবার এবং রবিবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক থেকে দেড়শ লোক ঈশ্বরের প্রার্থনাই মগ্ন হয় । আর কোনক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগের বিচ্ছিন্ন হলে এক বা একাধিক মানুষের ক্ষয়-ক্ষতি হতে পারে এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বৃষ্টি ও ঝড়ের সময় এলাকাবাসী ঘর থেকে বের হতে পারেনা। কোথাও কোন জায়গায় তার বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে কিনা এ ভয়ে। মাঝে মাঝে তারে তারে সংঘর্ষে আগুনের ধোঁয়াও তৈরি হয়। আবার কিছু জায়গায় তারের সংঘর্ষে তার একত্রিত হয়ে গেছে এমনও দেখা গেছে।
এলাকার গোলাম মোস্তফা কামাল জানান, অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আমরা বাস করি সবাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছি। আকাশুর রহমান জানান, এলাকায় ঝুলন্ত তার নিয়ে আমরা পুরো এলাকার লোক একটট্রা হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোন বিন্দু পরিমান উপকার হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি জানান, আমি ২ হাজার সাল থেকে দেখছি তারের অবস্থা এমন। আমাদের কবরখানার কমিটির লোকেরা বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার গুলা বেধে দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোন সংস্কার করেনি।
এলাকার তন্নী জানান, বৃষ্টির সময় এবং ঝড়ের সময় বাইরে বের হতে পারি না । বৈদ্যুতিক তার বি”িছন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে কিনা।
এলাকার হাজারি বিশ্বাস জানান, আমার বাড়ির যে বিদ্যুৎ লাইন এসেছে তা সুরেশ ও যাদবের বাড়ির টিনের উপর দিয়ে আসছে। ওই বাড়ির লোকেরা ঝুঁকিতে আছে।
এলাকার মনিরা বেগম জানান, ২২ বছর আমরা এসমস্যায় আছি। আমি তারের সাথে কয়েকদিন সর্ট করেছি। আমরা পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করি।আরো অভিযোগ করেছেন, সুভাষ লাউড়ী, তোবিবর রহমান, জেসমিন বেগম, সূরভ, গীতা বিশ্বাস, মাজেদা বেগম।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সমাজের কথাকে বলেন, ঐ এলাকার লোকেরা লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরে জমিনে গিয়ে দেখেছি। আগামিতে নতুন প্রকল্প আসলে কাজ শুরু হবে।এলাকাবাসির অনুরোধ বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটির ব্যবস্থা করা হোক।
Discussion about this post