নিজস্ব প্রতিবেদক:
“সোনারগাঁয়ে বাড়ি দখল করতে মধ্যযুগীয় কায়দায় দুই শিশু ও নারীসহ ৪ জনকে নির্যাতন ” শিরোনামে স্থানীয় কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়।যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাহজাহান মিয়া।
তিনি এক প্রতিবাদ লিপিতে বলেন,আমাকে ও আমার আত্মীয় স্বজনদের জড়িয়ে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তিনি তার প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন, আমাকে ভূমিদস্যু বানিয়ে আমার বাবা আব্দুল আউয়ালসহ চাচাতো ভাই রাজু , সিফাত, আব্দুর রব মিয়া,খোকা ও ৮-১০জন মিলে গত ৮দিন ধরে রোমানা আক্তার নামে এক মহিলা ও তার মেয়ে,শিশু ছেলে তাদের ভবনের বাহিরে ও ছাদের গেইটে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছি এমনটি লিখেছেন ওই নিউজে। ও তাদের ফেসবুক পেইজেও ভিডিও ছেড়েছেন।।ঘটনা এমন কিছুই ঘটেনি যা মহিলা নিজেই সাজিয়ে ভিডিও বানিয়ে তাদের দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান,ঐ মহিলার সাথে আমার চাচাতো ভাই আব্দুর রব মিয়ার সাথে ৯৮ সালে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১ ছেলে ও মেয়ে আছে। ভালোবেসে তার শেষ সম্পত্তি ২ শতাংশ জমি স্ত্রী রোমানা আক্তারের নামে হেবা করে দিয়ে দেন।আমার ভাই প্রবাসী ছিলো,সে মালোশিয়ায় দীর্ঘ ১৬ বছর ছিলেন। তার সব ইনকাম ও বেতন তার স্ত্রীকে পাঠাতো সংসার চালানো ও টাকা জমানোর জন্য। আব্দুর রব মিয়া বিদেশ থাকার কারণে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন।এক সময় আব্দুর রব মিয়া মালোশিয়া থেকে একেবারে চলে আসেন।তারপর থেকেই মহিলার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের ভিতরে ঝগড়া হয়। এখন ওই মহিলা আব্দুর রব মিয়াকে তালাক দিয়ে সব আত্মসাৎ করে নিয়েছে।
এখন ঐ মহিলা তার নামে হেবাকৃত জমি অন্যথায় হাসান নামে স্থানীয় এক জনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন সেই বাসায় থেকেই আব্দুর রব মিয়াসহ আমাদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার ও সাজানো নাটক সাজিয়ে সম্মানহানী করছেন।
এই বিষয়ে এলাকাবাসী জানান,ঐ মহিলা এক খারাপ চরিত্রের মানুষ। ওই মহিলা আব্দুর রব মিয়াকে ডিভোর্স দিয়েছে এবং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পরেছে। তার টাকা আত্মসাৎ করে তাকে পথে বসিয়েছে।এখন আব্দুর রব মিয়া সব হারিয়ে পাগল প্রায়।
আব্দুর রব মিয়া জানান, আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে সব টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে।আমি এখন অসহায়,মানুষের ধারে ধারে ঘুরছি। কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার এই বিষয়ে সুষ্ঠ বিচার করে দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার হাসান খান জানান,আমরা এই মহিলার বিষয়ে অবগত আছি। অনেক বার তাদের জায়গা জমির বিষয় নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বৈঠকে বসেছি। তা এখনো সমাধানে আসেনি। ঐ মহিলা (রোমানা আক্তার) তার সাবেক স্বামী আব্দুর রব মিয়ার কাছ থেকে জমি হেবা করে নিয়েছেন।আবার সেই জমি ঐ মহিলা তার আত্মীয় স্বজন কেউ না এলাকার এক ছেলে হাসান নামের ব্যক্তির কাছে হেবা করে দিয়েছে বলে শুনেছি। কাগজপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেনি ওই মহিলা।
Discussion about this post