নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরকারী জমি দখল করে অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন যাবত নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী বাস ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি বড় আকৃতির রোট চাম্বইল গাছ কেটে সেই গাছের কাঠ দিয়ে পাকা খুঁটি ও বাঁশ দিয়ে এ দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায় নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনিরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা রাতের অন্ধকারে কয়েটি সরকারী গাছ কেটে রাতারাতিই স- মিলে নিয়ে গাছ চিরে কাঠ করেন এবং সেই সরকারি গাছের কাঠ দিয়েই নির্মাণ করছেন অবৈধ দোকান। সরকারী গাছের কাঠগুলি লোকচক্ষুর আড়াল করতে পরমেশ্বরদী বাস ট্যান্ডের উত্তর পার্শে মাওলানা মোঃ আবু হুরায়রার মার্কেটের পিছনের পরিত্যক্ত জায়গাতে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও এলাকাবাসী জানান গত কয়েক মাস আগেও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সাইফুল হাজীও রাস্তার সরকারী গাছ কেটে নিয়ে গেছে তারও কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমানের যোগসাজশে এ দোকান ঘড় নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এর আগেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ভূমি কর্মকর্তার আশির্বাদপুষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালী সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘড় নির্মাণ করে আসছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চড়ম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনির মেম্বার কোন প্রকার লিজ ছাড়াই সরকারী সম্পত্তি ও নদীর জায়গা দখল করে সরকারী গাছ কেটে দোকানঘর নির্মাণ করছেন।
দোকান ঘর নির্মাণ হলে এ অঞ্চল যানজটের সৃষ্টি হবে, এছাড়াও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে জায়গা দখল ও সরকারী গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই হামলা ও মামলার ভয় দেখান।
এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ, পরমেশ্বরদী পুরাতন ব্রীজ এলাকা দখলদাড়িত্বের রামরাজত্ব চলছে। এ এলাকার পরিত্যক্ত সকল জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা, চেয়ারম্যান, ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দখলে নিয়ে নিচ্ছে। এর আগেও ওই এলাকায় কয়েকটি জায়গা ভূমি কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দখল করেছেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু বলেন, রাতের আধারে কতিপয় ব্যাক্তি কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে গেছে সত্য, তবে সেই গাছ মনিরুজ্জামান মেম্বার কেটেছে কিনা সেটা আমার জানা নাই।
অভিযুক্ত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন এই কাঠ আমি কিনে এনেছি এগুলা সরকারী গাছের কাঠ না আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে।
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, দোকানপাট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমার নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, খবর পেয়ে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজসের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Discussion about this post