ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে সেলায়মান হোসেন সোহাগ মোল্লা (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭জুলাই) সকালে উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়।পরিবারের দাবি সোহাগকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
সোহাগের বাবা মোাস্তফা মোল্লা বলেন, আমার ছেলের সাথে পরিবারের কারোকোন মনোমালিন্য ছিল না। অন্য কারণে তাকে কেউ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
সোহাগের চাচা আনোয়ার হোসেন জানান, সোহাগ আর তার ছোট ভাই শাকিল তাদের পুরান বাড়িতে বারান্দায় দুটি খাটে আলাদা ঘুমাত। আর তাদের মা বাবা নতুন বাড়িতে থাকে। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে দুই ভাই ঘুমাতে যায়। ঘুমানোর সময় কারো ফোন পেয়ে সোহাগের ছোট ভাই শাকিল বাড়ির কাছের বাজারে যায়। যাওয়ার সময় সে দরজা বাহির থেকে ছিটকানি দিয়ে যায় । রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শাকিল ফিরে এসে দেখে সামনের দরজা ভিতর থেকে আটকানো এবং পেছনের দরজা খোলা। ভিতরে গিয়ে দেখে তার বড় ভাই সোহাগের দেহ গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় আড়ার সাথে ঝোলানো । শাকিলের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও বাবা মা ছুটে এসে সোহাগের মৃত দেহ নামিয়ে ফেলে । রাতেই মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় ।
তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই নূরে আলম বলেন, আমরা যাওয়া আগেই লাশ নামিয়ে ফেলা হয়। নিহতের বাবা মোস্তফা মোলার আবেদনের প্রেক্ষিতে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে । নিহত সোহাগ কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন ছিল।
নলছিটি থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, লাশ উদ্ধারের বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। কি কারনে সোহাগের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কারণ ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
Discussion about this post