নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বরাবরই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকে ওসমান পরিবার। বছর জুড়েই স্থানীয়দের মুখে থাকে তাদের নাম, স্থানীয় গণমাধ্যমর প্রথম পাতায়ই থাকেন তারা। কখনো ইতিবাচক খবরের শিরোনাম আবার কখনো নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয় ওসমান পরিবার।
তবে টাউট, বাটপারদের কারণেও তাদের নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা ওসমান পরিবারকে ভালোবাসে, একশ্রেণীর লোক আছে যারা ভালোবাসে না আবার এক শ্রেণীর লোক আছে যারা এ পরিবারটিকে ভয় পায়, একথা সকলেরই জানা। আর এই ভয়কেই পুজি করে কতিপয় টাউট-বাটপাররা গুন্ডামি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, লুটপাত, ভুমিদস্যূতা করে বেড়ায়। যদিও ওসমান পরিবারের কেউ এসকল অপকর্ম সমর্থন করে না বলে বারবার বক্তব্য রাখেন পরিবারটির সদস্য এমপি শামীম ওসমান, এমপি সেলিম ওসমান, প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান ও শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান।
ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ওসমান পরিবারের পক্ষ থেকে এমন হুশিয়ারী ইতিপূর্বে স্থানীয় বেশকয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এ পরিবারের সদস্যদের নাম ভাঙ্গিয়েই যাচ্ছে একটি চক্র।
ইদানিং কালে নাম শোনা যাচ্ছে এম সার্কেস এলাকার জালাল উদ্দিন এর পুত্র সানি আহাম্মেদ নামে এক নয়া পাতি মাস্তানের। মাঝে মাঝে আজমেরী ওসমানের বিভিন্ন আনন্দ র্যালিতেও তাকে দেখা যায় এক শ্রেণীর নাম ব্যাবহার করে ডাকাতি ছিনতাই ও অবইধ ব্যাবসা করা ব্যাক্তির মধ্যে সানি একজন।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ এম সার্কেস এলাকা থেকে নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট, কিল্লার পুল, তল্লা , খানপুরসহ আশেপাশের এলাকায় রয়েছে বিশাল মাদক ব্যাবসার আস্তানা। আর এসব মাদক ব্যাবসার পরিচালনার অর্থ যোগান দাতা সময় নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা অফিসে ভাংচুর মামলার ১৩ নং পলাতক আসামী সনেট। কথিত রয়েছে, এসব মাদক ব্যাবসায় নিয়ন্ত্রন করছে সানি ও চিনহিত মাদক ব্যাবসায়ী শরীফ। তাকে দিয়ে ফ্যানসিডিল,ইয়াবা ফেরি করে বিক্রি করে যার অর্থের যোগান দেয় সনেট, এখানেই শেষ নয়, গত বেশ কয়েক বছর ধরে আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন এই সানি আহাম্মেদ । শহরের হাজীগঞ্জ খানপুর ও কিল্লারপুল এলাকায় অপকর্ম করে হাজী সাবের লোক বলে পরিচয় দিলেও যেই হোক অপকর্মকারীদের কোনো প্রশ্রয় নেই আজমেরী ওসমানের কাছে। সানি শুধু মাদক বা ছিনতাই চক্র পরিচালনা করি খ্যান্ত হয় নি পাশাপাশি নিজ বাড়িতে নারীদের নিয়ে দেহ ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে বলে জানা যায়। সানি, সনেট ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হাজীগঞ্জ কেল্লা,নবীগন্জ ঘাটে ছেলে মেয়েদের পথরোধ করে টাকা,মোবাইল,স্বর্নের গহনা,ছিনিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে অটো চুরি করে এনে বিক্রি করে অটোরিকশার গ্যারেজে। সানি আহাম্মেদ সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত শহর চষিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে রাতে নিজ বাড়ি হতে আত্তগোপন করে নবীগঞ্জ এলাকায় তার শশুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এদের মত অনেকেই আছেন যাদের দলীয় বা রাজনৈতিক কোনো পদ-পদবী নেই কিন্তু আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে থাকে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ নাম প্রকাশ করতে চান না।
Discussion about this post