নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ১২ই নভেম্বর সকাল ০৫.০০ ঘটিকার সময় ১নং বাবুরাইল, মোবারক শাহ রোড, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন মৃত মোতালেব শাহ সাহেবের স্ত্রী আসমা বেগম তার নিজ বাড়ীতে বাধ্যকতাজনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত আছমা বেগমের পুত্র মেহেদী আক্তার বকুল একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী আছেন। মৃত্যুর আগে আসমা বেগমের শেষ ইচ্ছা ছিল তার বন্দী ছেলে তার জানাজায় দাফন কাফন অংশগ্রহন করবে। কিন্তু মেহেদী কারাগারে বন্দি থাকায় তার মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ প্রায় অসম্ভব ছিল।
মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরনের জন্য পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় কান্নাজড়িত অবস্থায় ছোটাছুটি করতে থাকেন। অতঃপর তাদের ছোটাছুটি ও কান্নাঝরা অশ্রুমুখ দেখে এডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া এগিয়ে আসেন এবং তাদের মুখ থেকে তাদের মায়ের শেষ ইচ্ছা কথা শুনে তাদের সঙ্গে নিয়ে প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রসাশক, নারায়ণগঞ্জ বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রসাশক মহোদয় জরুরী কাজে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তারা সবাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি এর কাছে যান এবং ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ খুলে বলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার বিস্তারিত শুনে প্যারোলে মুক্তির লিখিত আবেদনটি জরুরী ভিত্তিতে ফাইলিং করার জন্য জে এম শাখাকে নির্দেশ প্রদান করেন। জে এম শাখার সহকারী কমিশনার ফারজানা আক্তারের সার্বিক সহযোগীতায় মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তির আবেদনের বিষয়ে জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার ও জেল সুপার কে নির্দেশক্রমে অনুরোধের একটি পত্র প্রেরন করেন।
পরবর্তীতে এডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া উক্ত অনুরোধের একটি পত্র পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দিয়ে মেদেীর পরিবারের লোকজনদের নিয়ে উক্ত অনুরোধের আরেকটি পত্র জেলা প্রসাশকের কর্মচারী দিয়ে জেল সুপার বরাবর জমা প্রদান করেন। কিছুক্ষন পর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পুলিশের একটি গাড়ীযোগে পুলিশ আসে এবং তাদের পাহারায় মেহেদী আক্তার বকুল কে তার মায়ের দাফন কাফনের জন্য রওনা হয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এডভোকেট মোঃ ফিরোজ মিয়া (আইডি নং-১৪০৯) বলেন, আমি ভাল একজন উকিল হওয়ার আগে ভালো একজন মানবিক মানুষ হতে চাই। আমি যেন সবার সাহয্যে এগিয়ে আসতে পারি এবং সবাই আমার জন্য দোওয়া করবেন।
Discussion about this post