বাধন রায়, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারির কারনে ঝালকাঠির খামারিরা এ বছরের কোরবানিতে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়ার আশংকা করছেন। সারা বছরের পরিশ্রমের ফল হিসেবে লাভের আশা থাকলেও এবারের করোনা পরিস্থিতি তাদের সে আশা নিরাশায় পরিনত হচ্ছে। তবে, প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছেন ভিন্ন কথা, খামারিরা ঈদের পরেও এসব পশু বিক্রি করতে পারবেন, ফলে তাদের আশংকা অনুযায়ী লোকশান হবে না। অপর দিকে অনলাইনে হাটবসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রাণি সম্পদ বিভাগ। তবে এখন পর্যন্ত এ হাটের কোন সারাই পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। নতুন এ পদ্ধতিতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেহই আগ্রহী নন।
ঝালকাঠিতে আসন্ন ঈদুল আযহায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। জেলায় ১২শ’৩০টি খামর এবং পারিবারিক ভাবে লালন পালনকৃত পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু প্রস্তত রয়েছে। এসব পশু কোরবানি উপযোগী মোটাতাজা করনে খড়-, দানা, শস্য বিশেষকরে গম, খৈল, ভুষি, এবং কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন করোনা থাকায় গো-খাবার, ঔষধ, কিটনাশক, পরিবহন ও লেবার মুজুরি অন্য সময়ের চেয়েঅনেক বেশি। তাই অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরগরু তৈরিতে খরচ হয়েছে অনেক বেশি। খামারিরা ব্যাংক ঋনের সাহায্যে অর্থের সংস্থান করে এসব খামার গড়ে তুলেছেন। সারা বছরের পরিশ্রমের ফল হিসেবে লাভের আশায় থাকলেও এবারের করোনা পরিস্থিতি তাদের সে আশাপূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর পিংড়ী এলাকার সৈয়দ এগ্রো ফার্মের মালিক সৈয়দ এনামুল হক কৃষি ব্যাংক থেকে ঋননিয়ে ৬০টি গরু ও ৭০টি ছাগল কিনে প্রায় এক বছর ধরে লালন-পালন করে বিক্রি উপযোগী করে তুলেছেন। তার আশা এবারে কোরবানীতে ৪০টি গরু ও ৫০টি ছাগল বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের পরে ভাল মুনাফা পাবেন। তবে করোনায় তার এ লক্ষ্য অর্ধেকও পুরণ হবে না বলে জানান। একওই অবস্থা জেলার অন্যান্য খামারিদেরও।
তবে প্রানি সম্পদ বিভাগ বলছেন ভিন্ন কথা, খামারিরা ঈদের পরেও এসব পশু বিক্রি করতে পারবেন, ফলে তাদের আশংকা অনুযায়ী লোকশান হবে না। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানান, প্রাণি সম্পদ কর্মকতার্ জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে কোরবানী ঈদে হয়তো আশানারুপ পশু বিক্রি নাও হতে পারে। তবে বিক্রি উপযোগি পশুগুলো কোরবানীর পরেও বিক্রি করা যাবে।
Discussion about this post