কাউসার আহমেদ, কুবি প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বিএনসিসি প্লাটুন নবীন ও প্রবীণদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ১২ টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মোট ২৭ জন প্রবীণ ক্যাডেটদের ক্রেস প্রদান করা হয় এবং নবীন প্রি-ক্যাডেটদের ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিনসিসি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুনের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট বিএনসিসিও অধ্যাপক ড. মোঃ শামীমুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাটুন কমান্ডার মোসা: শামসুন্নাহার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বিএনসিসি ক্যাডেটরা সবসময় দক্ষ ও যোগ্য হয়ে দেশের সেবাই নিয়োজিত রয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানে সেচ্ছাসেবী হিসাবে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুন।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান সেনা প্লাটুন রয়েছে। আমরা চাই নৌ প্লাটুন ও বিমান প্লাটুন যেন থাকে। যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী বিএনসিসির সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। একজন ক্যাডেট আর একজন সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক পার্থক্য রেয়েছে। যেটা আমি একজন ক্যাডেট ছিলাম বলে উপলব্ধি করতে পেরেছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটুন অনেক দূরে এগিয়ে সেটা কামনা রইলো।
প্রধান অতিথি বক্তব্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, একজন ক্যাডেট দেশের সেবায় সদা প্রস্তুত থাকে। তারা দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে দেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। তাছাড়া আমাদের ক্যাডেটরা যখন বিভিন্ন জায়গা গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটা আমাদের গর্বের বিষয়। প্রতিটি ক্যাডেটকে বিএনসিসির জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও সেচ্ছাসেবী এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. জুলহাস মিয়া, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক, হলের প্রভোস্ট, শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিএনসিসির প্লাটুনের ক্যাডেটবৃন্দ।
Discussion about this post