সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পোশাকের শো-রুমে তান্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াস ইসলাম লিয়ন বাহিনীর ক্যাডাররা। বুধবার রাতে হীরাঝিল এলাকায় স্টার পয়েন্ট নামে একটি পোশাকের শো-রুমে লিয়ন বাহিনীর ১৫/২০ জন ক্যডার বাহিনী দোকানের মালামাল ভাংচুর, তছনছ, অর্থ-মালামাল লুট ও দোকানের কর্মচারীদের মারধরসহ তান্ডব চালায়। ইলিয়াস হোসেন লিয়নের পালিত ক্যডার রাহাত, সজিব, শ্যামল ও সাদ্দামসহ ৪ জনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি ক্যডার বাহিনী এই তান্ডব চালায়।
শো-রুমের মালিক মো: আমির হোসেন জানান, আমি বিকালে রাহাত ও সজিবের দোকানে একটি প্যান্টের জন্য গেলে তাদের দোকানের কর্মচারীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তারা ১৫/২০ জন ক্যাডার নিয়ে আমার দোকানে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমাকে ও দোকানের কর্মচারীদের মারধর করে ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। হামলাকারী ক্যডাররা ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের ছেলে ও ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলয়াস ইসলাম লিয়নের ক্যডারবাহিনী বলে উল্লেখ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এলাকাবাসী জানায়, নির্বাচনের পর থেকে ইলিয়াস ইসলাম লিয়ন বাহিনীর তান্ডবে আমরা অতিষ্ঠ। বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, বখাটে, ছিচকে চোর-ছেচ্চর, বদমাইস, টোকাই ছেলেদের নিয়ে বাহিনী গড়ে তুলেছে। তারা কোন কারণ ছাড়াই এলাকায় মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমনকি তারা কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মারধর করেছে।
লিয়ন নাসিক ১নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার ইসলামের ছোট ছেলে। তার বাবা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ১নং ওয়ার্ডস্থ বিভিন্ন এলাকায় নতুন ব্যবসা দখল ও ঘর-বাড়ি নির্মাাণের সময় চাঁদা দাবিসহ নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে লিয়নের ক্যডারবাহিনী।
শুরুতেই তার বাহিনী ময়লার ব্যবসা দখলের চেষ্টা থেকে শুরু করে, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, শিমরাইল মোড়ে রেন্ট কারের দখল নিতে চেষ্টা, ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা দখলের পায়তারাসহ নানা চালিয়ে আসছে লিয়ন বাহিনী। ইতিমধ্যে লিয়ন বাহিনী ১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখিত নানা কর্মকান্ডে। এছাড়া অর্থ কামানোর জন্য আরো নানা ধরনের ফন্দি আটছে এই বাহিনী। তাদের এমন কর্মকান্ডে বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সাধারণ লোকজন রয়েছে আতঙ্কে।
Discussion about this post