জাকির হোসেন, যশোর প্রতিনিধিঃ
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে যশোরে। যশোরে আরও ২৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ৫৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশে পৌছালো।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে আরও ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নতুন করে মারা গেছেন আরও চারজন। এই নিয়ে গত সাতদিনে যশোরে এক হাজার ৪৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৪ জন।
যশোর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে গত ১২ জুন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলো ১৫০ জন। এছাড়া, ১৩ জুন ৯২ জন ও মারা যান পাঁচজন, ১৪ জুন ২৪৯ জন ও মারা যান তিনজন, ১৫ জুন ২৩৫ জন ও মারা যান পাঁচজন, ১৬ জুন ২০৬ জন ও মারা যান চারজন এবং ১৭ জুন আক্রান্ত হয়েছিলো ২০৩ জন ও মারা গেছিলো তিনজন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৪৪ জন। মারা গেছেন ১০১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪১ জন।
এদিকে, দিনে দিনে যশোরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও কঠোর বিধিনিষেধের নামে যশোরে চলছে জনগণ ও প্রশাসনের লুকোচুরি খেলা। যশোর পৌর এলাকা ও আশপাশের চারটি ইউনিয়নে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেও মাঝেমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যশোরের মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ নয়, কার্যকর লকডাউনের দাবি উঠছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা রুগী শনাক্ত হয়েছে যশোরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় জায়গা ভিত্তিক লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এটা নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
Discussion about this post