মেহেদী হাসান, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বের হওয়ায় আতঙ্কে হাসপাতাল থেকে বের হয় রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ সময় অক্সিজেন দিতে না পারায় শ্বাসকষ্টের এক নারী রোগী মারা যাবার অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাতটার পর ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বের হয়। এ সময় শব্দ হলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর স্বজনরা আতঙ্কে রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের হয়। প্রায় এক ঘন্টা বৃষ্টির মত শব্দে অক্সিজেন বের হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের এলাকায় কুয়াশার মত সাদা হয়ে যায়। এ সময় আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতাল জুড়ে।
আবার এ সময় হাসপাতালে আসা শহরের চন্দ্রা গ্রামের জহুরুল হকের স্ত্রী শ্বাসকষ্টের রোগী মর্জিনা বেগম (৫০) অক্সিজেন দিতে না পারায় মারা যায় বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। রোগীর স্বজনরা জানান, শ্বাসকষ্টের ওই রোগী সেন্ট্রাল হাসপাতালে ছিল। সন্ধ্যার আগে তাকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে তাকে অক্সিজেন দেওয়া শুরু করেছিল। এর মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়ালে তারা আর অক্সিজেন দিতে পারেন নি। কিছুক্ষণ পর ওই রোগী মারা যান। পরে একটি এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতাল থেকে ওই নারীর মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরেন স্বজনরা।
রোগীর স্বজনরা জানান, হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টির মত শব্ধে রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কিত হন। প্রায় এক ঘন্টা রোগী ও স্বজনরা অনেকেই ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে হাসপাতালের স্টোরের একজন গিয়ে গ্যাস বন্ধ করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মাহফুজুর রহমান সোহান টেলিফোনে বলেন, অতিরিক্ত গ্যাস বের হবার ঘটনা স্বাভাবিক বিষয়। এটা মাঝে মাঝেই বের হবে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নাই। এ সময় অক্সিজেন দিতে না পেরে কোন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন সহকারী পরিচালক।
Discussion about this post