সাধারণ সময়েই যাদের জোটে না দু’বেলা দু’মুঠো খাবার। আর এখনতো করোনার ছোবলে তারা দিশেহারা। এসব দিশেহারা মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন অনেকটা নীরবে-নিভৃতে।
এই মানবিক উদ্যোগে করনে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে কাঁচপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান পারুল।
তিনি দীর্ঘ এক মাস ধরে করোনার প্রভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের তালিকা তৈরী করে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু খাদ্য সামগ্রী বিতরণে তাঁর কোন দল নেই। দলমত নির্বিশেষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন।
ইসরাত জাহান পারুল আজ সমাচার কে বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব মনে করেছি সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি, দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার সংগ্রাম। এই সংগ্রামটাই আমি অসহায়দের জন্য করছি।
শুধু খাদ্যসামগ্রীই নয় তিনি অসহায়দের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকেন করোনার সময়টাতে সুস্থ থাকবার-বাড়িতে থাকবার।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসরাত জাহান পারুল বলেন, এই অসহায়দের পেটে যতোদিন ক্ষুধা আছে ততদিন তাদের পাশে থাকতে চাই। এটাই আমার তৃপ্তি। অসহায় মানুষগুলো পেটপুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়, এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল। আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা চাল-ডাল পওয়ার পরে তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
Discussion about this post