ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা এলাকায় অর্ধশতাধিক স্থানে গরুর হাট বসেছে। কোরবানির দিন যত সামনে ঘনিয়ে আসছে ধীরে ধীরে হাট বাজারে গরুর-ছাগলের বেচা কেনা জমতে শুরু করেছে। তবে, করোনা জনিত পরিস্থিতির কারণে বিগত বছর গুলোর ন্যায় হাট-বাজারে প্রাণ নেই। কোন কোন গরুর-ছাগলের হাট এখনও ক্রেতা শূণ্য। ঝালকাঠি জেলায় কৃষক পরিবারে পশু মোটা তাজা করণ কর্মসূচির আওতায় কোরবানী উপলক্ষ্যে গরু-ছাগলে উৎপাদন চাহিদার ৬০ ভাগ রয়েছে এবং হাট বাজারগুলোতে অবশিষ্ট গরু-ছাগল প্রধানত বাগেরহাট অঞ্চল থেকে বেপারীরা নিয়ে আসে। এবছর হাট-বাজারগুলোতে বাহির থেকে আসা বেপারীরা কোন ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হয়নি।
ঝালকাঠিতে বরিশাল ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম কয়েকটি গরুর হাট পরিদর্শন করেছেন এবং সকল ধরনে সকল ধরণের নিরাপত্তার প্রদানের জন্য জেলা পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন।এই অঞ্চলের ভারত থেকে কোন গরু আসে না। এবছর বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। করোনার কারণে হাটগুলোতে ক্রেতারা না এসে স্থানীয় খামার ও খোঁজ খবর নিয়ে কৃষক পরিবার থেকে গরু কিনছেন।
এছাড়াও অনলাইনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গরু কেনার সুযোগ থাকলে এর ব্যবহার কম হচ্ছে। মানুষ সরাসরি পশু দেখে কিনতে আগ্রহী। হাট-বাজার গুলোতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সার্বক্ষণিক মনিটরিং রয়েছে এবং জাল নোটের বিস্তার রোধে জাল নোট সনাক্ত করণ মেশিন নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা তথ্য অফিস কোরবানির পশু জবাই বর্জ্য অবসারণসহ করোনা পরিস্থিতি জনিত কারনে করনিয় বিষয় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post