মুমতাজুল কবীর,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর জেলায় করোনার টিকা প্রদানের আজ ৪র্থ দিন। রবিবার থেকে মাদারীপুরের প্রতিটি উপজেলায় চলছে করোনার টিকা প্রদান। সেই সাথে কালকিনি উপজেলায় ও দেওয়া হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন। টিকা প্রদানের প্রথম দিনের তুলনায় ৪র্থ দিনে টিকা গ্রহনকারীদের অনেক বেশি চাপ বেড়েছে। অনেকে লাইনের তোয়াক্কা না করেই স্বেচ্ছাসেবকদের ঠেলেঠুলে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে টিকা গ্রহনের জন্য। এতে বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে টিকা নিতে আসা বয়স্ক ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবীদের। এছাড়াও টিকা গ্রহনের পরে ৩০ মিনিট ধরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বলা হয়। কারন টিকা গ্রহনের পরে যদি কোনো টিকা গ্রহনকারীর পাশ^প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়া তাহলে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারে। কিন্তু টিকা গ্রহনকারীদের বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায় অনেক কে টিকাকেন্দ্রের বারান্দায় সিড়িতে বসে থাকতে দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্বে থাকা জান্নাতুল আক্তার বলেন, টিকা নিতে আসা কিছুলোক সরকারি কর্মচারী ও রাজনৈতিক লোকের পরিচয় দিয়ে আমাদের কথা না মেনে নিয়মশৃঙ্খলা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে, এতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আরও দবী করেন আমাদের সাথে পুলিশ বা আনসার সদস্য থাকলে সুবিধা হতো। লাল মিয়া নামে টিকা নিতে আসা একব্যক্তি বলেন এখানে পরিচিতদের আগে টিকা দেওয়া হচ্ছে আমি ৩ঘন্টা ধরে বসে আছি, আমার স্ত্রী-মেয়ে সেই সকাল থেকে বসে আছে । আমাদের নাম এখনো ডাকে নি,খোজ নিতে জিজ্ঞাসা করায় বলেন,আপনার ফর্ম পাচ্ছি না বাহিরে গিয়ে দাড়ান।
এ বিষয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আল বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের প্রথম ৩ দিনের থেকে আজ অনেক বেশি লোক টিকা নিতে আসায় একটু জায়গার সংকট হচ্ছে তবে আমরা পরবর্তীদিনেই সমস্যা গুলোর সমাধান করে নিবো।
উপস্থিত কালকিনি উপজেলার নির্বাহী অফিসার,সাংবাদিকদের বলেন,আপনারা তথ্য ফর্ম পূরন করতে পারেন তাইলে আমাদের সহায়তা করুন।
লোক সংখ্যা এবং সেচ্ছা-সেবীদের দিকে তাকালে উক্ত পরিনস্থিতে বুঝা যায়, করোনার টিকা নিতে আসা মানুষেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কালকিনি উপজেলায়।
Discussion about this post